বাংলাদেশে ডেঙ্গুর একটি ভ্যাকসিনের দ্বিতীয় ধাপের ট্রায়াল সম্পন্ন করেছে আন্তর্জাতিক উদরাময় গবেষণা কেন্দ্র বাংলাদেশ (আইসিডিডিআর’বি)। ট্রায়ালের ফল সন্তোষজনক মনে করে বিজ্ঞানীদের আশাবাদ, তৃতীয় পর্যায়ের ট্রায়াল সফল হলে তিন বছর পর বাজারে দেখা যেতে পারে ডেঙ্গুর টিকা।
এডিস মশার বিস্তার, উৎপাত ও ডেঙ্গু শনাক্ত– সবই বাড়ছে প্রতিদিন। রাজধানীসহ সারা দেশের হাসপাতালগুলোতে রোগীর উপচে পড়া ভিড়। মৃতের সংখ্যাও বাড়ছে রোজ। এমন অবস্থায় ডেঙ্গু মোকাবিলায় আশার বার্তা দিতে পারে টিকা।
এরই মধ্যে উন্নত দেশে দেয়া হচ্ছে ডেঙ্গুর ভ্যাকসিন। বাংলাদেশেও ডেঙ্গুর একটি ভ্যাকসিনের দ্বিতীয় ধাপের ট্রায়াল সম্পন্ন করেছে আইসিডিডিআর’বি। তারা বলছে, তৃতীয় পর্যায়ের ট্রায়াল সফল হলে তিন বছর পর মানুষের হাতের নাগালে পৌঁছে যাবে ডেঙ্গুর টিকা।
ডেঙ্গু প্রতিরোধে বাণিজ্যিকভাবে উৎপাদনে আছে দুটি টিকা। যুক্তরাষ্ট্রের ফুড অ্যান্ড ড্রাগ অ্যাডমিসিস্ট্রেশন (এফডিএ) অনুমোদিত টিকা ডেনভ্যাক্সিয়া। আগে ডেঙ্গু হয়েছে, এমন ৯ থেকে ১৬ বছর বয়সীদের ছয় মাস পরপর তিন ডোজ দিতে হয় এই টিকা। ইউএস সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোলের (সিডিসি) তথ্য অনুসারে, ডেনভ্যাক্সিয়া ২০টি দেশে ব্যবহারের জন্য অনুমোদন পেয়েছে।
অপরটি কিউডেঙ্গা, যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব হেলথের (এনএইচআই) তৈরি। এটি নিতে পারেন যে কোন বয়সীরা। কিউডেঙ্গা ব্যবহারের অনুমোদন দিয়েছে ইন্দোনেশিয়া, ইউরোপীয় কমিশন ও ব্রাজিল। সম্প্রতি বাংলাদেশে এই টিকার দ্বিতীয় ধাপের ট্রায়াল শেষ করেছে গবেষণা সংস্থা আইসিডিডিআর’বি।
আইসডিডিআর’বির সংক্রামক রোগ বিভাগের বিজ্ঞানী মোহাম্মদ শফিউল আলম জানান, এরই মধ্যে ব্রাজিলে শেষ হয়েছে এই টিকার তৃতীয় ধাপের ট্রায়াল। ভ্যাকসিনের কার্যকারিতা বা অ্যাফিকেসিও ভালো। দ্রুততম সময়ে টিকাটি বাজারে আসলে ডেঙ্গু প্রতিরোধ অনেকটাই সহজ হতে পারে বলে তার ধারণা। দেশের একাধিক ঔষধ কোম্পানি যুক্তরাষ্ট্রের এই টিকা দেশে উৎপাদনের চেষ্টা করছে।
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।